ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ল্যাব সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেরোবির বিজনেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা 

ল্যাব সুবিধা থেকে বঞ্চিত বেরোবির বিজনেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা 

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিজনেস অনুষদে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কম্পিউটার ল্যাব পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে ল্যাবের গুরুত্বপূর্ণ অনেক যন্ত্রাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ল্যাব সুবিধা ছাড়াই পড়াশোনা শেষ করছেন ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিজনেস অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ৫ টি। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, মার্কেটিং, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। ২০১২-১৪ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদকে ৭৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমানের হাত ধরেই ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেসময় ল্যাবটি দেখার জন্য আলাদা করে জনবল রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার ল্যাবের জন্য আলাদা করে জনবল রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে অকেজো হতে থাকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

ফাইনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর গাজী বলেন, ল্যাব নেই সেজন্য অনেকবার আমাদের বিভাগীয় প্রধানকে বলছি কিন্তু কাজ হয়নি। আমাদের ল্যাবভিত্তিক অনেক কোর্স থাকে। কোর্সগুলো আমাদের ল্যাব সুবিধা ছাড়াই শেষ করতে হয়। মাঝে মাঝে আমাদের অনেক ক্যালকুলেশন করার জন্য ল্যাবের প্রয়োজন হয়,সেটি আর আমরা পাইনা। অনেকের ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তারা সেগুলো করে। এছাড়া ল্যাব ভিত্তিক কোর্স গুলো আমাদের থিওরি পড়ায়। এতে আমাদের বুঝতেও অসুবিধা হয়।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুলাইমান বলেন, আমাদের বিভাগ নতুন। এছাড়া আমাদের বেশিরভাগ কোর্সের জন্য ল্যাব দরকার পড়ে। ফলে আমরা ব্যবহারিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই। আমাদের বেশিরভাগ সময় অন্য অনুষদে গিয়ে ইইই বা সিএসসি বিভাগের ল্যাব ব্যবহার করতে হয়। অন্য বিভাগে ল্যাব ব্যবহার করা সব সময় হয়ে উঠে না। কারণ সেই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও থাকে।

এই বিষয়ে তৎকালীন বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান বলেন, আমি থাকা অবস্থায় ল্যাব ভালোই চলছিল। কিন্তু আমার যখন ডিনের দায়িত্ব শেষ হয়। তখন থেকে ল্যাবের জনবল ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাদের অন্য জায়গায় পদায়ন করা হয়। এক পর্যায়ের ল্যাবটি বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিজনেস অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান বলেন, ল্যাবের কম্পিউটারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ল্যাবটি চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, কম্পিউটার ল্যাবটির বিষয়ে যথাযথভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বেরোবি,ল্যাব,বঞ্চিত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত